January 16, 2025, 4:40 am

সংবাদ শিরোনাম
মধুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেনাপোলে বিজিপি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হারিয়ে যাওয়া মায়ের খোঁজে দিশেহারা সন্তানরা ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক

আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল জার্সির বাজারেও প্রতিদ্বন্দ্বী

আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল জার্সির বাজারেও প্রতিদ্বন্দ্বী

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

বরাবরের মতো এবারও বিশ্বকাপ ফুটবলের আাঁচ থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশ। এ সময় প্রিয় দলের প্রতি সমর্থন জানানোর অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে জার্সি। দোকানিরাও ফুটবলপ্রেমীদের চাহিদা মেটাতে তৎপর হন জার্সির পসরা নিয়ে।

এবারও রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের জার্সি নিয়ে দোকানিরা পুরোদমে তৈরি। ফুটপাত থেকে শুরু করে নামিদামি বিপণী বিতানের দোকানগুলোতেও শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন দলের জার্সি; চললে বেচাকেনাও।

রাজধানীতে খেলাধুলার সরঞ্জামের সবচেয়ে বড় বাজার গুলিস্তানের মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের দোকানিরা জানান, পুরো বছর তাদের বেচাকেনা চললেও বিশ্বকাপ এলে চাহিদা বাড়ে বিভিন্ন দলের জার্সির।

তারা জানালেন, মান ভেদে জার্সির দামের হেরফের রয়েছে, তবে ৩০০ থেকে হাজারের মধ্যেই মিলছে প্রিয় দলের জার্সি।

স্টেডিয়ামে ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেলাধুলার সরঞ্জামের ব্যবসা করে আসা ইসলাম এন্টারপ্রাইজের মালিক রাসেল বলেন, “বাজারে তিন মানের জার্সি বিক্রি হয়। লোকাল, চায়না ও থাইল্যান্ড মেইড।”

তিনি জানান, লোকাল (দেশে তৈরি) জার্সির দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। চীনে তৈরি একটু ভালো মানের জার্সির দামও কিছুটা বেশি- ৫০০ টাকা। সবচেয়ে ভাল মানের জার্সি আসে থাইল্যান্ড থেকে, যার প্রতিটির দাম সাড়ে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

ফুটপাতে বিভিন্ন দলের জার্সির পসরা নিয়ে এক বিক্রেতা। ছবি: আব্দুল্লাহ আল মমীন ফুটপাতে বিভিন্ন দলের জার্সির পসরা নিয়ে এক বিক্রেতা। ছবি: আব্দুল্লাহ আল মমীন “এবার প্রথম রোজা থেকেই জার্সি বিক্রি শুরু হয়েছে, এখনো সেভাবে জমে না উঠলেও বিশ্বকাপ যত এগিয়ে আসবে বিক্রিও বাড়বে,” আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাসেল।

ফুটবল মাঠের মতো জার্সির বাজারেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল।

সিটিজেন স্পোর্টস ফেয়ারের কর্মচারী মিনহাজ জানান, সবচেয়ে বেশি চলছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার জার্সি। এরপরই চাহিদা জার্মানি, স্পেন ও পর্তুগালের জার্সির।

তিনি বলেন, “আমরা থাইল্যান্ড থেকে জার্সি আমদানি করি। দেশে পাওয়া যায় এমন সবচেয়ে ভাল মানের জার্সি এটাই, দাম ৯০০ থেকে হাজারের মধ্যে।

ফুটপাতে বিভিন্ন দলের জার্সির পসরা নিয়ে এক বিক্রেতা। ছবি: আব্দুল্লাহ আল মমীন ফুটপাতে বিভিন্ন দলের জার্সির পসরা নিয়ে এক বিক্রেতা। ছবি: আব্দুল্লাহ আল মমীন “আমাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে বড় বড় শপিং মলে আড়াই-তিন হাজার টাকায় এই জার্সি বিক্রি হয়। তবে যারা জার্সি চেনে এখান থেকেই নেয়।”

বজলুর রশিদ নামের এক ক্রেতা বলেন, “বিশ্বকাপের আগে প্রিয় দলের জার্সি কিনব না, সেটা হতেই পারে না। এখানে জার্সির দাম সাধ্যের মধ্যে, গুণগত মানও ভাল আর দরদাম করে কেনা যাচ্ছে।”

পটুয়াখালীর কাপড় ব্যবসায়ী মুবিন আলী সারা বছর কাপড় বিক্রি করলেও বিশ্বকাপের সময় চাহিদার কথা ভেবে স্টেডিয়াম মার্কেটে জার্সি কিনতে এসেছেন।

তিনি বলেন, “ক্রেতারা কাপড় কিনতে এসে জার্সি খোঁজে, তাই শ’খানেক কিনে নিলাম। বিশ্বকাপের আগে আরও একবার আসতে হবে এখানে।”

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর